দেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এখানে নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ

ছবি সংগৃহীত

 

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এই দেশে নেই। এই দেশে আছে অন্য দেশের তাঁবেদার সরকার, যারা নিজ দেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।

শুক্রবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্পাদিত দেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদ’-এ আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। পরে চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

 

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের এখন যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করে আছেন, তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী তা জানেন না। আসলে তারা ক্ষতি কী জানেন না। তারা জানেন কীভাবে গদি রক্ষা করতে হয়। গদি রক্ষার জন্য সমস্ত কিছু উজাড় করে দিতেও তাদের আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, যদি বঙ্গোপসাগর ও সেন্টমার্টিন দিয়ে দেই তাহলে ক্ষমতায় থাকতে পারব। এখন আমরা প্রশ্ন করতে পারি… এই যে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন, কীসের বিনিময়ে আছেন? বাংলাদেশের কী কী জিনিস কার কার হাতে তুলে দিয়েছেন? পরিষ্কার করে আমাদের নেতাকর্মীরা বলেছেন, ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেওয়া হচ্ছে।

 

ভারতের চাহিদা থাকতেই পারে বলে উল্লেখ করে সাকি বলেন, ভারতের এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যেতে অনেক অসুবিধা হয়। তারা কলিডোর চাইতে পারে। কিন্তু আমাদের সরকার বলছে ট্রানজিট বলছে। এটাকে কলিডোর বলুন।

গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, গতকাল আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসল কথা বলে দিয়েছেন। বলেছেন, ভারতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চীন সফরের কথা বলেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনে যাবেন, এটা নিয়ে ভারতের কোনও আপত্তি নেই। এখানে আর কিছু বলার দরকার আছে? এটা কী স্বাধীন সার্বভৌম দেশ? এই দেশের প্রধানমন্ত্রী যে কোনও দেশে যেতে পারেন। তার জন্য কি অন্য দেশের অনুমতি লাগবে? কিন্তু শেখ হাসিনার লাগে।

 

এই সরকারের সঙ্গে কোনও আপস হবে না জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে আমরা কোনও অনুমোদন দেবো না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। মাঝে মাঝে অনেকেই বলেন, অনেক বছর ধরে তো লড়াই করছেন, পারলেন না তো। আমি বলছি, গতকাল পারিনি, আজ পারব। আজ পারিনি, কাল পারব, লড়াইটা চলবে। যতদিন পর্যন্ত তাদেরকে পরাজিত করতে না পারি, এখানে কোনও থামাথামি নেই, আপস নেই।

 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের, চরিত্রহীনদের এবং জবরদখলকারীদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ কোনও আপস করবে না। আমরা কোনও বিভ্রান্তকর আন্দোলন করব না। মূল সমস্যা যেগুলো, সেগুলোকে আড়াল করে অন্য একটা সমস্যা নিয়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করব… সেই রকম কাজও করব না। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা কর্মসূচির ভিত্তিতে মত-পদ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আর লড়াই ছাড়া মুক্তি পাবেন না। তাই বাঁচার জন্য এই লড়াই আপনাদের সবাইকে করতে হবে।

 

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। সূূএ:  ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মাদকাসক্ত ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছোট বোন নিহত

» সিটিটিসি কার্যালয় পরিদর্শন করলেন ডিএমপি কমিশনার

» ১৬টি পয়েন্ট তুলে ধরে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে বললেন তারেক রহমান

» সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন ভারতের উচিত তার দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: তথ্য উপদেষ্টা

» আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ উপদেষ্টা মাহফুজের

» ব্র্যাক ব্যাংকের এমপ্লয়ি ব্যাংকিং সুবিধা পাবে সিগাল হোটেলস

» কেমন হলো ভিভো ভি৪০ লাইট এর এআই ফিচার

» ইসলামপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণ ও চেক বিতরণ

» ইসলামপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এখানে নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ

ছবি সংগৃহীত

 

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এই দেশে নেই। এই দেশে আছে অন্য দেশের তাঁবেদার সরকার, যারা নিজ দেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।

শুক্রবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্পাদিত দেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদ’-এ আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। পরে চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

 

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের এখন যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করে আছেন, তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী তা জানেন না। আসলে তারা ক্ষতি কী জানেন না। তারা জানেন কীভাবে গদি রক্ষা করতে হয়। গদি রক্ষার জন্য সমস্ত কিছু উজাড় করে দিতেও তাদের আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, যদি বঙ্গোপসাগর ও সেন্টমার্টিন দিয়ে দেই তাহলে ক্ষমতায় থাকতে পারব। এখন আমরা প্রশ্ন করতে পারি… এই যে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন, কীসের বিনিময়ে আছেন? বাংলাদেশের কী কী জিনিস কার কার হাতে তুলে দিয়েছেন? পরিষ্কার করে আমাদের নেতাকর্মীরা বলেছেন, ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেওয়া হচ্ছে।

 

ভারতের চাহিদা থাকতেই পারে বলে উল্লেখ করে সাকি বলেন, ভারতের এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যেতে অনেক অসুবিধা হয়। তারা কলিডোর চাইতে পারে। কিন্তু আমাদের সরকার বলছে ট্রানজিট বলছে। এটাকে কলিডোর বলুন।

গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, গতকাল আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসল কথা বলে দিয়েছেন। বলেছেন, ভারতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চীন সফরের কথা বলেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনে যাবেন, এটা নিয়ে ভারতের কোনও আপত্তি নেই। এখানে আর কিছু বলার দরকার আছে? এটা কী স্বাধীন সার্বভৌম দেশ? এই দেশের প্রধানমন্ত্রী যে কোনও দেশে যেতে পারেন। তার জন্য কি অন্য দেশের অনুমতি লাগবে? কিন্তু শেখ হাসিনার লাগে।

 

এই সরকারের সঙ্গে কোনও আপস হবে না জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে আমরা কোনও অনুমোদন দেবো না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। মাঝে মাঝে অনেকেই বলেন, অনেক বছর ধরে তো লড়াই করছেন, পারলেন না তো। আমি বলছি, গতকাল পারিনি, আজ পারব। আজ পারিনি, কাল পারব, লড়াইটা চলবে। যতদিন পর্যন্ত তাদেরকে পরাজিত করতে না পারি, এখানে কোনও থামাথামি নেই, আপস নেই।

 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের, চরিত্রহীনদের এবং জবরদখলকারীদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ কোনও আপস করবে না। আমরা কোনও বিভ্রান্তকর আন্দোলন করব না। মূল সমস্যা যেগুলো, সেগুলোকে আড়াল করে অন্য একটা সমস্যা নিয়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করব… সেই রকম কাজও করব না। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা কর্মসূচির ভিত্তিতে মত-পদ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আর লড়াই ছাড়া মুক্তি পাবেন না। তাই বাঁচার জন্য এই লড়াই আপনাদের সবাইকে করতে হবে।

 

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। সূূএ:  ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com